District Natore
বাংলাদশে বনিয়িোগ উন্নয়ন র্কতৃপক্ষ কতৃক বাস্তবায়নাধীন “উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প”এর নাটোর জলোর একজন তরুণ উদ্যোক্তা হচ্ছনে সলেমি রজো। তনিি “উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প”-এর নাটোর জলো প্রশক্ষিণ কন্দ্রে থকেে ২য় ব্যাচে প্রশক্ষিণ গ্রহণ করনে। অল্প বয়সইে হয়ে উঠছেনে একজন তরুন উদীয়মান উদ্যোক্তা। আলহাজ্ব মোঃ সেলিম রেজা, উচ্চ শিক্ষিত (এমএসএস, এলএলবি, বিএড) একজন সফল কৃষক, উদ্যোক্তা ও গবেষক। সেলিম রেজার কৃষিকাজ সবসময় গবেষনা মূলক তিনি প্রথমে ভেষজী শতমূল, মিচরি দানা, ঘৃতকুমারী ও শিমুল চাষ করেন পরে ২০০২ সালে আপেল ও থাই কুল চাষ শুরু করেন ৩৮ বিঘা জমিতে। যার ফলশ্রæতিতে দেশে প্রথম ও বড় কুলের আড়ৎ তার খামারের নিকটে নাটোরের আহমেদপুরে স্থাপিত হয়। বর্তমানে বৃহৎ আকারে পার্শ্ববর্তী নাটোরের বনপাড়ায় রয়েছে। পরবর্তীতে ২০০৬ সালে কৃষক পর্যায়ে দেশে প্রথম বারমাসি থাই পেয়ারা চাষ করেন। এর মাঝে কলকাতা থেকে আনা কাটা বিহিন গোলাপ ও মেরুন রংয়ের গøাডিওলাস ফুল চাষ করেন। বিদেশি রেড লেডি জাতের পেপে চাষ করেও সফল হন। এছাড়া দেশে প্রথম তাইওয়ান থেকে আনা মালচিং পেপার তার খামারে ব্যবহার করে আসছে। এতে করে মাটির আর্দ্রতা রক্ষা হয়, মাটিতে সার সেচ কম লাগে, লেবার কম লাগে, আগাছা জন্মায় না। এ পদ্ধতিতে বিদেশি চেরি টমেটো, চায়না বিভিন্ন জাতের বাধা কপি স্ট্রবেরি সহ বিভিন্ন ফল ফুল ও সবজি চাষ করে আসছেন । বর্তমানে আরও ৯টি নাবি জাতের আম নিয়ে গবেষণা করছেন যাহা কৃষি বিভাগের সাথে পরাপর্শ সাপেক্ষে নামকরণ করা হবে। কৃষিতে তার নতুন নতুন উদ্ভাবন, অর্গানিক, নিরাপদ, বাণিজ্যিকভাবে লাভবান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও পরিবেশ বান্ধব ও হাজারও মানুষের (পুরুষ ও মহিলা) কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ তার সাফল্যের চালচিত্র ও প্রভাব বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার ও প্রকাশ হওয়ায় দেশের লাখ লাখ মানুষ উৎসাহিত হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে বেকারত্ব দুর হচ্ছে।








দেশে নতুন নতুন প্রযুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। সেলিম রেজার বাগানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মুডিভেশনাল ট্যুর করে তারা অভিঙ্গতা সঞ্চার করেন। সেলিম রেজার কমিউনিটি হর্টিকালচার প্রমোটর (সিএইচপি) হিসেবে কর্মরত। তিনি ডিএই একজন তালিকাভ‚ক্ত সফল কৃষক। বর্তমানে পেয়ারাসহ বিভিন্ন জাতের বারমাসি লেবু, লেট ভ্যারাইটি আম, (গৌরমতি, যাদুভোগ, বারী-৪, বান্দিগোড়), নিলুদ্দিন (বারি-১১), ব্রুনাই কিং, বারমাসি বেদেনা, শরিফা, ড্রাগন ফল, বাতাবী লেবু, রামবুটান, ম্যাংগোষ্টিন, পারসিমন, আনারস, বারমাসী কদবেল, খাট জাতের অল্প সময়ে ফলনশীল (২ থেকে ৩ বছর) ক্যারালা হাইব্রিড নারিকেল, ভিয়েতনাম থেকে আনা সিয়াম গ্রিন কোকোনাট ও সিয়াম কোকোনাট চাষ শুরু করেছি এবং সফলতার মুখ দেখছি। এছাড়া পলিথিন ব্যাগের বিকল্প পরিবেশ বান্ধব ব্যাগ, চঊঘ (চবংঃ ঊীপষঁংরড়হ ঘবঃ) বিভিন্ন ফল যেমন- আম, কলা, শরিফা, বেদানা, পেয়ারা ইত্যাদিতে ব্যবহার উপযোগী ও সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহারও শুরু করেছি যাহা দেশের জন্য দৃষ্টান্ত। দেশের বিলুপ্ত প্রায় ও পুষ্টি সমৃদ্ধ বিষমুক্ত ফলগুলো মানুষ জাতে বার মাস খেতে পায় এটাই আমার পরিকল্পনা। কৃষিতে আমার সফলতার অবদানের প্রভাব যে দেশ ব্যাপি ছড়িয়ে পরেছে তা সরজমিনে পরিদর্শন করেন মাননীয় কৃষি সচিব, ভিয়েতনামী সংসদ সদস্য ও সভাপতি (বাগান) অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন মহাপরিচালক, বিভিন্ন পরিচালক, বিভিন্ন উপসচিব, বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, প্রধান নির্বাহী (জেলা পরিষদ), অতিরিক্ত পরিচালক, উপ-পরিচালকসহ দেশ বিদেশ থেকে আসা উর্দ্ধতন








কর্মকর্তাগণ। এতে করে কৃষিতে দৃষ্টান্ত মূলক অবদান রেখে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদানসহ সারা বছর বৃক্ষ রোপন, ফল উৎপাদন ও অন্যের জন্য মডেল ও গবেষণাসহ বিষমুক্ত ফল উৎপাদনের জন্য আন্তর্জাতিক, রাষ্ট্রীয় ও জাতীয় পর্যায়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নিকট হতে ১১টি পুরস্কারসহ ৭৪টিরও বেশি সনদ, ক্রেস্ট, গিফট ও সম্মাননা অর্জন করে দেশে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে সর্বাধিক সম্মননা অর্জন করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ‘‘আগামীতে নিজস্ব খামারে উৎপাদিত ফল ও সবজী থেকে বিভিন্ন জ্যাম, জেলী, জুস ইত্যাদি ছোট শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চায় এবং দেশের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা ও বিদেশে রপ্তানি নিয়েও চিন্তা-ভাবনা করছেন’’। কৃষি তথ্য সার্ভিসের কৃষি ডায়েরীতে ১৬নং ক্রমিকে ফল চাষী হিসেবে তালিকাভুক্ত বরাবরই আছেন। এছাড়া সেলিম রেজার সফলতা নিয়ে অনেক বই লিপিবদ্ধ হয়েছে। সেলিম রেজার খামার ও নার্সারি সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী নিবন্ধন ও ট্রেড লাইসেন্সকৃত এবং তিনি নিয়মিত কর প্রদান করে আসছেন।
“উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প” এর প্রকল্প পরচিালক আবুল খায়রে মোহাম্মদ হাফজিুল্লাহ্ খান স্যার এর সহায়তায় এবং নাটোররে প্রশক্ষিণ সমন্বয়ক ইমরান ভাই এর সহযোগতিায় কৃষির উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য সেলিম রেজা নিজ অর্থায়নে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া ও শ্রিলঙ্কায় সফর করেছেন এবং অনেক নতুন নতুন জাত এনে তার খামারে গবেষণা করছেন। বর্তমানে তার খামারের নাম দৃষ্টান্ত এগ্রো ফার্ম এন্ড নার্সারী