চায়ের দেশ ও পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিত মৌলভীবাজার। তার সাথে সাথে অপার সম্ভাবনা নিয়ে অনেক উদ্যোক্তাই কাজ করছে। সেরকমই এক জন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প(ESDP) মৌলভীবাজার জেলার ৫ম ব্যাচের উদ্যোক্তা গৌরব রঞ্জন দাশ, রেজিষ্ট্রেশন নম্বর (৫৮৫২০৯) মৌলভীবাজার সদর মৌলভীবাজার। সে ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত করেছে “প্রভা ইলেকট্রনিক” নামে একটি কোম্পানি। যেখানে সে তৈরি করতেছে এলইডি বাল্ব,হাই স্পিরিট ফ্যান ও অনান্য ইলেকট্রনিকস পন্য।আঞ্চলিক এসএমই পণ্য মেলা ২০১৯ মৌলভীবাজার জেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তার তৈরিকৃত বাল্ব, বাজরে প্রচলিত বিভিন্ন নামি ব্রান্ডের চেয়ে আনেক উন্নত ও ভাল মানের। সে তার পন্যগুলোতে দিচ্ছে রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি ও বাজার থেকে অনেক কম দামে। ভবিষ্যতে সে প্রতিষ্ঠাত নামি ব্র্যান্ডে হিসাবে পরিচিত লাভ করবে এই প্রত্যাশা করে। অনেক বেকার যুবকরা তার কাছ থেকে পণ্য সংগ্রহ করে ব্যবসা করে হয়েছে। সে ইতিমধ্যে তার প্রতিষ্ঠানে ১৫ জন লোকের কর্মসংস্থান দিয়েছে।
আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য পোল্ট্রি শিল্পের বিকল্প নেই।আমাদের জন্য আশার খবর হচ্ছে শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দিনে দিনে আধুনিক এগ্রো ফার্ম স্থাপন করতে শুরু করেছে। উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প মৌলভীবাজার জেলার সপ্তম ব্যাচের উদ্যোক্তা মোঃ মাঈনুল ইসলাম রেজিষ্ট্রেশন নম্বর (৫৮৫০৪৬) কুলাউড়া মৌলভীবাজারের সেইরকমই একজন উদ্যোক্তা। সে ইতিমধ্যে এস,এম,ব্রাদার্স এগ্রো ফার্ম নামে একটি আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ এগ্রো ফার্ম স্থাপন করেছেন। করোনা মহামারীর কারণে সে বড় ধরনের একটা হোঁচট খাওয়া সত্ত্বেও হাল ছাড়েনি। বর্তমানে তার এগ্রো ফার্মে ১৩০০০ পোল্ট্রি মুরগি, ১৪ টি গরু, ১৬ টি ছাগল, ৪০০০০ তেলেপিয়া অন্যান্য মাছ ২০০০ এবং পেঁপে গাছ ৭৫০ টি রয়েছে। সে প্রতি মাসে ভালো একটা মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম। আমাদের উচিত তার মতো যুবকরা দিনে দিনে এই কাজে আগ্রহী হবে এবং বড় কিছু করতে সক্ষম হবে।