District Manikganj
নিউ সানলাইট এস “ব্যাটারী রিসাইক্লিন ফ্যাক্টরী”
উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্পের মানিকগঞ্জ জেলার উদ্যোক্তা মোঃ রতন হোসাইন। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে (বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার ইত্যাদি) ব্যবহার করা পুরাতন ব্যাটারী সংগ্রহ করে রিসাইক্লিন করেন। মূলত পুরাতন ব্যাটারী প্রক্রিয়জাত করে সেখান থেকে সীসা বের করে সেগুলো বিক্রি করেন। নতুন ব্যাটারী বা ব্যাটারী তৈরির সীসা দেশের বিভিন্ন কোম্পানী এবং দেশের বাহিরে বিশেষ করে চীনে রপ্তানী করেন। সর্ব প্রথম তার পিতা মোঃ শরফ আলী এই ব্যাটারীর ব্যবসা শুরু করেন। মোঃ শরফ আলী আজ থেকে প্রায় ৩৫ বছর আগে মাত্র ৪,০০/- টাকা নিয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে যৌথভাবে তার ব্যবসা শুরু করেন। কিছুদিন করার পর একাই নতুন করে ব্যবসা শুরু করেন। দিন দিন তার ব্যবসার সুনাম ও পরিধি বাড়তে থাকে। নতুন নতুন কোম্পানীর সাথে লিঙ্ককেজ হতে থাকে। ভারত এবং চীন থেকে পণ্য এনে আমাদের দেশে বিক্রি করেন। বাংলাদেশের রহিমা আফরোজ কোম্পানীর সাথে দীর্ঘদিন অত্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা করেছেন। বর্তমানে ডিলারশিপের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন। মানিকগঞ্জ এবং আশেপাশের জেলা মিলে প্রায় ৩০-৩৫ জন খুচরা ব্যবসায়ী এদের কাছ থেকে জিনিস নিয়ে বিক্রি করেন। সততার সাথে ব্যবসা করার কারণে, ব্যবসার মুনাফা আসতে থাকে সন্তোসজনক হারে।এদিকে মোঃ রতন হোসাইন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও (স্নাতোকত্তর অধ্যায়নরত) সম্পন্ন করে সিদ্ধান্ত নেন কোন একটি চাকুরী করবেন, কিন্ত বাবা মোঃ শরফ আলী বলেন যে না তুমি ব্যবসা কর। তুমি এই ব্যবসাকে আরো আধুনিক পর্যায় নিয়ে যাও, তুমি এটি নিয়ে গবেষণা কর, যে গবেষণায় নতুন কিছু বের হয়ে আসবে যা দেশের উন্নয়নে কাজে আসবে। তিনি বাবার কথামত ব্যবসায় মনোনিবেশ করলেন এবং গবেষণা করে সীসার নতুন একটি রূপ দিলেন। তার উৎপাদিত সীসাটির বাজারে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলাতে তাদের একটি কারখানা রয়েছে। বর্তমানে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে প্রায় ৪২ শতাংশ জায়গা ক্রয় করে একটি “ব্যাটারী রিসাইক্লিন ফ্যাক্টরী” করছেন, যার নির্মাণ কাজটি প্রায় শেষ। ফ্যাক্টরীতে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই ফ্যাক্টরীতে আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে। যখন পরিপূর্ণ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে তখন এই ফ্যাক্টরীতে প্রায় ৩৫-৪০ জন লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। মোঃ রতন হোসাইন মানিকগঞ্জ ইএডিপি প্রকল্প থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে আজ একজন সফল উদ্যোক্তা,এ জন্য তিনি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞ।
মোঃ রতন হোসাইন
ব্যাচ-৫ম
আইডি নং-৫৬৫০১০
মেসার্স বিবি অটো রাইস এন্ড ফুড লিমিটেড

মানিকগঞ্জ ইএডিপি পরিবারের ১ম ব্যাচের উদ্যোক্তা মোঃ সহিদুর রহমান, রেজিস্টেশন নম্বর-৫৬০০৭৮। বর্তমানে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ”মেসার্স বিবি অটো রাইস এন্ড ফুড লিমিটেড”। মানিকগঞ্জ জেলার অন্যতম সফল একজন উদ্যোক্তা হিসাবে তিনি পরিচিত। তিনি মানিকগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের এন্ড ইন্ডাস্টিজ এর একজন পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট বেলা থেকেই নিজে একটা কিছু করার অদম্য নেশা ছিল মনে আর তাই পরাশুনার পাশাপাশি কাজ শুরু করেন। প্রথম দিকে বাবার সাথে সরিষা এবং নিজেদের চাতালে ধানের মিলে কাজ শুরু করেন। বাবা মারা যাবার পর শুরু হল জীবনের আসল যুদ্ধ, জীবনের বাস্তবতার সাথে সংগ্রাম শুরু করেন। অনেক কষ্টে এস এস সি পাশ করেন। পরাশুনার পাশাপাশি অনেক গুলো ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন এবং টাকা সঞ্চয় করতে থাকেন। এক সময় পোল্টি মুরগীর ব্যবসা করে প্রচুর মুনাফা করেন । এই সময় তিনি হোটেল সোনারগাও এবং শেরাটনে এই মানিকগঞ্জ ইএডিপি পরিবারের ১ম ব্যাচের উদ্যোক্তা মোঃ সহিদুর রহমান, রেজিস্টেশন নম্বর-৫৬০০৭৮। বর্তমানে তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক ”মেসার্স বিবি অটো রাইস এন্ড ফুড লিমিটেড”। মানিকগঞ্জ জেলার অন্যতম সফল একজন উদ্যোক্তা হিসাবে তিনি পরিচিত। তিনি মানিকগঞ্জ চেম্বার অব কর্মাসের এন্ড ইন্ডাস্টিজ এর একজন পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট বেলা থেকেই নিজে একটা কিছু করার অদম্য নেশা ছিল মনে আর তাই পরাশুনার পাশাপাশি কাজ শুরু করেন। প্রথম দিকে বাবার সাথে সরিষা এবং নিজেদের চাতালে ধানের মিলে কাজ শুরু করেন। বাবা মারা যাবার পর শুরু হল জীবনের আসল যুদ্ধ, জীবনের বাস্তবতার সাথে সংগ্রাম শুরু করেন।



অনেক কষ্টে এস এস সি পাশ করেন। পরাশুনার পাশাপাশি অনেক গুলো ক্ষুদ্র ব্যবসা করেন এবং টাকা সঞ্চয় করতে থাকেন। এক সময় পোল্টি মুরগীর ব্যবসা করে প্রচুর মুনাফা করেন । এই সময় তিনি হোটেল সোনারগাও এবং শেরাটনে এই মুরগীর মাংশ সরবরাহ করেন। বাগেরহাট থেকে নারিকেলের খোল, ছোবরা, কাঠের ভূষি এনে বিভিন্ন কোম্পানীতে সরবরাহ করেছেন। এছাড়াও গাছের গুড়ি, লোহা এবং বিভিন্ন জিনিস বিভিন্ন কোম্পানীকে সরবরাহ করতেন। এভাবে তার অর্থনৈতিক অবস্থা যখন একটু ভাল হল, তখন তিনি ব্যাংক লোনের সহয়োগিতা নিয়ে শুরু করলেন অটো রাইস মিলের কাজ। নাম দিলেন ”মেসার্স বিবি অটো রাইস এন্ড ফুড লিমিটেড”। এটিই মানিকগঞ্জের প্রথম অটো রাইস মিল। এই মিলটি করতে যেয়ে তিনি দেশের বিভিন্ন জেলা (নওগা, কুষ্টিয়া, রংপুর, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাও, দিনাজপুর) এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছেন, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য। ফ্যাক্টরীটি প্রতিষ্ঠা করতে প্রায় ২৫০ শতাংশ জমির প্রয়োজন হয়েছে। বর্তমান মোট বিনিয়োগের পরিমান প্রায় ১৬ কোটি টাকা। প্রতিদিন প্রায় ২৪০০ মণ ধান থেকে চাউল উৎপাদন করা যায়। ফ্যাক্টরীতে বর্তমানে প্রায় ৬০ জন লোক কর্মরত আছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা একটি অটো পার্টস ফ্যাক্টরী করা, যা দেশের অভ্যন্তরীন চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাহিরে রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা।